স্টুডেন্টরা অবশ্যই দেখুন-সার্টিফিকেট-নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে যা করনীয়!!!

সার্টিফিকেট হারিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই। কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।



প্রথমে যা করবেন
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ফাহিমা খাতুন জানালেন, সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে দেরি না করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর জন্য প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

এরপর শিক্ষা বোর্ডে
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র’ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবে
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে। পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।

ব্যাতিক্রম আছে
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

কত টাকা লাগবে
সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০ টাকা। এ ছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ-নকলের জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।

উৎস: দৈনিক কালের কণ্ঠ

২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার (বর্তমান ৯ম শ্রেণী) নম্বর বিভাজন-১

 জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের ৬ ষ্ঠ থেকে এসএসসি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের মান বন্টন ও প্রশ্নের ধরন ঘোষণা করেছে। এখন থেকে এসব শ্রেনীর পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন থাকবে ,নম্বর বণ্টন কী রকম হবে তা নিয়েই MuslimBangla র ধারাবাহিক প্রতেবেদন। ,,,,,,,,,,,

HSC Examination Routine 2013 – এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি-২০১৩

বন্ধুরা শুরু হয়ে যাচ্ছে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৩ সনের। সকলের জন্য প্রান ঢালা ভালবাসা ও অভিনন্দন রইল। আসা করি সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে  ভালো রেসাল্ট করবে এসএসসি পরীক্ষাইয়। HSC Examination 2013 Routine টি প্রকাশিত হয়েছে Ministry of Education থেকে। যারা এখনো এটি ডাউনলোড অথবা দেখে নেউনি তারা এখুনি দেখে নাও অথবা নিচে ডাউনলোড থেকে ডাউনলোড করে নাও।
সবার পরিক্ষা অনেক ভালো হক সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা সব সময় কিন্তু পরিক্ষার সময় মনোযোগ দিয়ে পরিক্ষা দাও সেই কামনায় আজকের মত বিদায় তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে পোষ্টটি শেয়ার করে তাকেও খবরটি জানিয়ে দাও যেন কোন বন্ধু বিপদে না পরে যায়।

ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন? দেখুনতো এই বিষয়গুলো অনুযায়ী নিজেকে তৈরী করে নিয়েছেন কিনা।


আসসালামুআলাইকুম। আমরা প্রায়ই কোথাও না কোথাও চাকরীর ইন্টারভউ দিয়ে থাকি। কিন্তু চাকরীর ইন্টারভিউ দেয়ার আগে যেই বিষয়গুলো আমাদের আতি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা উচিত তা করতেই ভুলে যাই। তাই আপনাদের আমি এমন কিছু টিপ্স দিচ্ছি যা আপনাদের চাকুরী পেতে আনেক সাহায্য করবে।
১) প্রথমেই ইন্টারভিউ এর দিনটাকে মনে করবেন show-off এর দিন। নিজের পোশাক পরিচ্ছদ এর মধ্যে একজন প্রফেশনাল এর লুক নিয়ে আসার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। চাকচকা কালারের কোন জামা পরবেন না। পুরুষরা পরবেন হালকা কালারের শার্ট আর ডার্ক কালার এর পেন্ট। মেয়েরা পরবেন সেলোআর কামিজ, সাড়ি যতসম্ভব না পড়ার চেষ্টা করবেন। ফুল কটনের জামা এড়িয়ে চলবেন কারন কোথাও বসলে তাতে খুব সহজেই খুচ হয়ে যায় যা সহজে যেতে চায় না।
২) মানুষিক ভাবে নিজেকে পুরোপুরি ভাবে তৈরি করার জন্য সকালের গোসলটা আর ঠিকমত রাতের ঘুমটা খুবই প্রয়োজন। তাই এই দুই বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
৩) হালকা পারফিউম ব্যবহার করবেন, কড়া কোন পারফিউম ব্যবহার করবেন না।
৪) যেই কোম্পানিতে ইন্টাভউ দিতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানির সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।
৫) ইন্টারভিউ স্থলে ১৫ মিনিট পূর্বে পৌছাবেন অবশ্যেই।
৬) নিজেকে সবার মধ্যে সেরা মনে করতে ভুলবেননা মোটেও কারন এটি আপনার মনের জোরকে আরও বৃদ্ধি করবে। যা আপনার জন্য আতি প্রয়োজনীয়।
৭) ইন্টারভিউ মার্জিত ভাবে শুরু করুন। আই কন্টাক এর দিকে খেয়াল রাখবেন। চোখে চোখে তাকিয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন সব প্রশ্নের।
৮) আপনার সম্পর্কে যানতে চাইলে অবশ্যই আপনার আগের কাজের থেকে পাওয়া আপনার সব Achievement তুলে ধরবেন। মনে রাখবেন যেই জব এর জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সেই জবের সাথে যেই সমস্ত Achievement বেশি সামঞ্জস্য পূর্ণ তা তুলে ধরবেন।
৯) যদি আপনার কোন weakness এর কথা বলেন তাহলে অবশ্যই এটি কাটিয়ে উঠার জন্য আপনি যেই সব প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা ও উল্লেখ করবেন।
১০) আপনার পড়াশোনার মুল বিষয়গুলো সম্পর্কে যেনে যাবেন।
১১) আপনার পড়াশোনার বিষয়বস্তুর কিছু উল্লেখযোগ্য কি ওয়াডস যেনে যাবেন, এটি আপনাকে আপনার মেধাবী ও সুখ্যবৃদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার পরিচয় দিবে।
১২) সবসময় positive থাকার চেষ্টা করবেন, এবং কোন পলিটিকাল পার্টির প্রতি আপনার সমর্থন ঞ্জাপন করবেন না।
১৩) বার বার ঘড়ির দিকে তাকাবেন না যখন আপনি ওয়েটিং রুম এ থাকবেন তখন। আর যখন ইন্টারভিউ এ থাকবেন তখন ভুলেও তাকাবেন না।
১৪) যদি আপনি কোন প্রশ্নের উত্তর না জানেন তাহলে তা সরাসরি বলে দিবেন। এখানে ঐখানে তাকিয়ে সময় অপচর করবেন না।
১৫) বুদ্ধীমত্বার সাথে ইন্টরভিউ সমাপ্ত করবেন, আর এই চাকুরীর পজিসান এর প্রতি আর কোম্পানির প্রতি আপনার ইচ্ছা ঞ্জাপন করুন।
(আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে ভুলবেন না)

জীবনবৃত্তান্ত কপি করা উচিত নয়


Shara : একজন শিক্ষার্থী কীভাবে বুঝবেন, তাঁর কোন ধরনের চাকরি বেছে নেওয়া উচিত?

MuslimBangla : এ ক্ষেত্রে চাকরির বাজারে বর্তমানে চাহিদা কোথায় বেশি , সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগ্রহ আর কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। সবাইকে বলবো, আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি কী হতে চাই এবং আমার কোথায় যাওয়া উচিত। নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। অভিজ্ঞতা অর্জন এবং নতুন কিছু শেখার কোনো বিকল্প নেই। যত শিখবেন, তত দক্ষ হযে উঠবেন। শেষ কথা, বুঝেশুনে পা ফেলুন


Shara : কোন বিষয়গুলো জীবনবৃত্তান্তে থাকা বিরক্তির কারণ বলে মনে করেন?

MuslimBangla : অপ্রয়োজনীয় কিছু লিখে জীবনবৃত্তান্ত বড় করার প্রয়োজন নেই । প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোই সংক্ষিপ্ত আকারে লিখুন। আপনার ওজন, উচ্চতা-এগুলো অপ্রয়োজনীয়। তাই জীবনবৃত্তান্ত লেখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন

Shara : য়াঁরা নতুন নতুন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী?

MuslimBangla : শুরুতেই নিজেকে চিনতে হবে এবং জানতে হবে। কোনো ভয় থাকা যাবে না । এ ছাড়া দুই থেকে তিনটি সাক্ষাৎকার দিলে আর ভয় থাকবে না। কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানলে সরাসরি না করুন। ভণিতা করবেন না। স্বাভাবিক থাকুন। একটাই কথা: বি ইএরসেলফ। ভাষা এবং আপনার অঙ্গভঙ্গির প্রতি নজর রাখুন। পরবর্তী সাক্ষাৎকারে যাতে আর কোনো ভুল না হয়, সে জন্য আরও ভাবুন।

Shara : সিভিতে কী কী বিষয় না লেখা  উচিত?

MuslimBangla : সব প্রতিষ্ঠানের জন্য একই রকম জীবনবৃত্তান্ত  দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমনঃ  জীবনবৃত্তান্তে রক্তের গ্রুপ, উচ্চতা, গায়ের রং দেওয়ার প্রয়োজন নেই।